
স্টাফ রিপোর্ট।
সিলেট বিএনপিতে কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ কর্মিরা।
বিএনপির সিলেট মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়েছে আজ ৪ নভেম্বর সোমবার। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুকতাদির বলয়ের নেতা কর্মিরা মূল্যায়িত হলেও আরেক উপদেষ্টা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সহ অনেক ত্যাগী,শহরের পরিচিত মূখ বাদ পড়েছেন।
বিগত আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পর ও সিলেট মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা পাননি সদ্য সাবেক আহবায়ক কমিটির নেতা প্রস্তাবিত কমিটিতে সহ সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, সদ্য সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের প্রাত্তন কেন্দ্রীয় নেতা প্রস্তাবিত কমিটিতে সহ সভাপতি মাহবুব চৌধুরী, প্রস্তাবিত সহ সভাপতি ফাত্তাহ্ বকসী, বিগত আহবায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ুন আহমদ মাসুক, রেজাউল করিম নাচন, ডা. মো শাকিলুর রহমান, মামুন ইবনে রাজ্জাক রাসেল, আব্দুল্লাহ শাফি শাহেদ, আব্দুল গফফার, মখলিস খান, রায়হাদ বক্স রাক্কু, রফিকুল বারী রোমান, কামাল হাসান জুয়েল, মারুফ আহমেদ টিপু সহ উল্লেখযোগ্য কয়েকজন নেতা।
আন্দোলনের সময় বিদেশে চলে যাওয়ায় নাছিম হুসেনকে বাদ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিগত আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েছ লুদীকে। আন্দোলনে থাকা নেতা কর্মিদের কমিটিতে মূল্যায়নের কথা বলা হলেও ত্যাগী কয়েকজন নেতা বাদ পড়ায় দন্ধ কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। বিগত দুই বছরের বিএনপির সকল পর্যায়ের আন্দোলনে সহ মামলা ও কারানির্যাতিত ও দল এবং জিয়া পরিবারের সংকটে ৩০/৩৫ বৎসর থেকে এ দলে কাজ করা কয়েক জন নেতা বাদ পড়েছেন।
আজ সোমবার রাতে ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখান করে ও ত্যাগী নেতাদের যথাযথ স্হানে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে নগরীতে। মিছিলটি জিন্দবাজার থেকে শুরু হয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভকারীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আস্হা রেখে লন্ডন থেকে যিনি সবসময় কমিটি আনেন তার প্রতি বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
দলের সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকাদের পাশ কাটিয়ে, সিলেটের চেয়ারপার্সনের কয়েকজন উপদেষ্টার সুপারিশ উপেক্ষা করে ত্যাগী কয়েকজন নেতাকে ইচ্ছে করে বাদ দিয়ে তার বলয়ের লোকজন দিয়ে কমিটি এনে দলে ক্ষতি, বিভেদ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে কমিটিতে স্হান না পাওয়া কয়েক জন বক্তব্য রাখেন।
এই প্রতিবেদককের কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন তৃনমুলের কর্মি বলেছেন আওয়ামীলীগের ভিতরে এমন কোন্দল সৃষ্টি হয়েছিল বলে আজ তাদের করুন অবস্থা আমরা দেখছি, আমরা পার্টির চেয়ারম্যানকে দ্রুত বাদ পড়া ত্যাগীদের এডজাস্ট করে সমাধান করে দেয়ার অনুরোধ করছি, যাতে বিভেদ না ছড়ায়। কারন মানুষ হাসাহাসি করবে।